নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, ড. ইউনূস জুনের ৩০ তারিখের পর আর একদিনও দায়িত্বে থাকবেন না। তিনি বলেন, “উনি এক কথার মানুষ। বারবার বলেছেন— ৩০ জুনের পর নির্বাচন যাবে না, এবং তিনি আর থাকবেন না।”
তিনি আরও জানান, “আমরা বর্তমানে একটি যুদ্ধাবস্থার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পর দেশকে অস্থিতিশীল করার নানা অপচেষ্টা চলছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের গন্তব্য ঠিক রাখতে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারায় ফেরার জন্য প্রধান উপদেষ্টা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”
প্রেস সচিব জানান, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের তিনটি মৌলিক লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “এই সংস্কার কার্যক্রম শেষ করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আজকের বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন এবং তারা ড. ইউনূসের উদ্যোগ ও রোডম্যাপের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন।”
বৈঠকের মূল বার্তা ছিল—দেশকে অস্থিতিশীলতা থেকে রক্ষা করা, সংস্কারের ধারা অব্যাহত রাখা এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করা। শফিকুল আলম জানান, “ড. ইউনূস স্পষ্ট করে বলেছেন, যদি তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে না পারেন, তবে নিজেকে অপরাধী মনে করবেন। দেশের স্বার্থে তিনি যতদিন আছেন, ততদিন কোনো অনিষ্ট হবে না—এটা তিনি নিশ্চিত করেছেন।”
তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন—জুন মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে নির্বাচন হবে। ১ জুলাইতে গড়াবে না। আমাদের সবাইকে এই রোডম্যাপকে বিশ্বাস করতে হবে। তিনি সময় মতো নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন।”
প্রেস সচিবের ভাষায়, “এই সরকার সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন—এই তিনটি লক্ষ্যেই কাজ করছে। আমরা বিশ্বাস করি, এই লক্ষ্যগুলো পূরণ হলে জনগণের আস্থা অর্জন করা সম্ভব হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত কোনো উপদেষ্টার পদত্যাগের বিষয়ে তারা কিছু শোনেননি। কেউ যদি ব্যর্থতার কথা বলেন, সেটি আলাদা বিষয়, তবে পদত্যাগের প্রসঙ্গ এখনো আসেনি।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply